পরী পর্বঃ ৫ | ভূতুরে গপ্পো

------ #পরী ------ Part-5 . অনেকক্ষণ যাবৎ মাছ ধরছিলাম তৃশা আমার থেকে ও বেশি মাছ ধরে অনেক খুশি হয়ে গেলো, দেখলেন মিস্টার বলেছিলাম না আপনি আমার সাথে মাছ

পরী পর্বঃ ৫ | ভূতুরে গপ্পো
পরী পর্বঃ ৫ | ভূতুরে গপ্পো

 ------ #পরী ------

Part-5

.

অনেকক্ষণ যাবৎ মাছ ধরছিলাম তৃশা আমার থেকে ও বেশি মাছ ধরে অনেক খুশি হয়ে গেলো,

দেখলেন মিস্টার বলেছিলাম না আপনি আমার সাথে মাছ ধরে পারবেন না। অযথাই বাজি ধরে হেরে গেলেন এখন আমি যা বলবো আপনাকে তাই করতে হবে।

-ভয়ে ভয়ে বল্লাম কি করতে হবে আমাকে?

আবির বলেছে আপনি নাকি ভালো বাইক রাইড করতে পারেন। আপনি আমাকে বাইকে নিয়ে ঘুরাবেন।

-আমার কাছে তো এখন বাইক নেই আপনাকে ঘুরাবো কিভাবে আর গ্রামটা ও আমি ভালো মতো চিনি না।

চলেন আমার সাথে।

আমি আর ও বাসায় আসলাম। আবিরের ভাইয়ার কাছে গিয়ে তৃশা বাইকের চাবি নিয়ে আসলো। এর পর বাইকের কাছে আমাকে নিয়ে গিয়ে চাবি দিয়ে বল্লো চলান, গ্রাম টা আমি চিনি আপনাকে চিনতে হবে না। আমি ওকে নিয়ে বের হলাম। ওর দেখানো পথে কিছুকক্ষণ যাওয়ার পর একটা বীল দেখতে পেলাম। বীলটা অনেক সুন্দর ছিলো, বীলের মাঝ দিয়ে একটা উচু কাঁচা রাস্তা একদম বীলের শেষ পর্যন্ত। চারপাশে পানি, ছরিয়ে ছিটিয়ে আছে কাশ ফুল, মনে হচ্ছে রং তুলিতে আঁকা কাল্পনিক ক্যানভাস। আমি তৃশা কে নিয়ে রাস্তাটা দিয়ে বাইক চালাচ্ছি। খানিকটা যাওয়ার পর ও বল্লো বাইক থামান। বাইক থামানোর পর ও নেমে গিয়ে ঘাসের উপরে বসলো, আমি ও বাইক রেখে ওর পাশে এসে বসলাম।

,

------ পরীর আগমন ------

,

পরীস্থানের রাজকন্যা ঈলিনা তার ঘুমন্ত ছোট বোন ইকোর পাশে বসে অশ্রুজল নয়নে তাকিয়ে আছে। তিন যুগ হলো এভাবে ইকো ঘুমিয়ে আছে এই রুম টা তে। তিন যুগ আগে ইকো তার দুই খেলার সাথি কে নিয়ে পৃথিবিতে গিয়েছিলো তখন এক তান্ত্রিক তাকে কালো যাদু দিয়ে ধরে ফেলেছিলো। তান্ত্রিক ইকোকে স্পর্শ করার সাথে সাথে ইকো ঘুমিয়ে পড়ে। এর পর জিনদের রাজা ইকোর বাবা নার্সিসাস পৃথিবীতে গিয়ে ঐ তান্ত্রিককে পাথর বানিয়ে ঘুমন্ত মেয়েকে নিয়ে পরিস্থান এ ফিরে আসে।

অনেক চেস্টা করেও নার্সিসাস তার মেয়ের ঘুম ভাঙ্গাতে পারে নি। এর থেকে পরিত্রাণ পাবার উপায় জানার জন্য তিনি প্রেমের দেবি এ্যাফ্রেদাইতি'র কাছে যান। দেবি তাকে বলেন পৃথিবীতে তিন যুগ পরে পূর্ণিমা রাতে একটি ফুল ফুটবে সেই ফুল রাজকন্যাকে স্পর্শ করালেই রাজকন্যা জেগে উঠবে তবে সেই ফুল কোন জিন বা পরী স্পর্শ করলে সাথে সাথে অদৃশ্য হয়ে যাবে। শুধুমাএ পাপ মুক্ত কোন মানব পুএ ই কেবল সেই ফুল স্পর্শ করতে পারবে।

ঈলিনার বাবা রাজা নার্সিসাস আর মা মারিনা ঘুমন্ত মেয়ের রুম এ আসেন। ঈলিনা বাবাকে জরিয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বল্লো বাবা ইকো কি আর কখনো জেগে উঠবে না? রাজা নার্সিসাস মেয়েকে দেবী এ্যাফ্রেদাইতি যে উপায় গুলো বলেছে তা বল্লো। তখন ঈলিনা তার বাবাকে বল্লো আমি পৃথিবীতে গিয়ে সেই মানব সন্তান কে খুজে বের করে ফুল নিয়ে আসবো তিন দিন পর পূর্ণিমা আমি আজ ই পৃথিবীতে যাবো।

,

এদিকে ফায়াজ আর তৃশা বাসায় ফিরে আসে, বীল থেকে আসার পর থেকে ফায়াজের প্রতি তৃষার ভালো লাগার শুরু হয়ে গেছে।

বাসায় এসে ফায়াজ দেখলো বাড়িটা পুরো পুরি স্বাজানো হয়ে গেছে। কাল তমার গায়ে হলুদ। সবার মুখে হাঁসি এ এক অদ্ভুত রকমের ভালো লাগা। আজ বাড়ি ভর্তি মানুষ। আবির আমাকে কে দেখে বল্লো কিরে কোথায় গিয়েছিলি তোরা?

-বীল দেখতে গিয়েছিলাম।

আচ্ছা ভালো করছিস চল পুকুরে গোসল করবো। বাসায় গোসলের সিরিয়াল লাগছে।

গোসল শেষ করে এসে দূপুরের খাবার খেলাম। তার পর রুম এ গিয়ে দিলাম একটা ঘুম।

বিকেলে তৃশা এসে ঘুম থেকে ডেকে উঠালো, উনি আমার জন্য নাশতা এনেছেন। ফ্রেশ হয়ে এসে নাশতা করে ছাদে গেলাম। পড়ন্ত বিকেল সূর্যটা রক্তিম লাল বর্ণ ধারন করেছে কিছুক্ষণ এর মধ্যে সূর্য টা ডুবে যাবে। তৃশা এশে আমার পাশে দাড়ালো দুজন মিলে নিশ্চুপ দাড়িয়ে সূর্য অস্ত যাওয়া উপভোগ করছি।

রাতে ডিনার শেষ করে আমি আর আবির বাসার বাহিরে এসে কথা বলছি বাসায় এতো মানুষ এর কথার শব্দে আমার মাথা ব্যাথা করছিলো এখন কিছুটা ভালোলাগছে। বাড়িটা সুন্দর করে লাইটিং করা হয়েছে। অনেক দূর পর্যন্ত আলো যাচ্ছে। আবির ভুলে ফোনটা রুম এ রেখে আসছে আমাকে বল্লো তুই থাক আমি ফোনটা নিয়ে আসি।

-আচ্ছা যা।

অনেকক্ষণ যাবৎ বসে আছি আবির আসছে না। আমি উঠে হাটা শুরু করলাম হাটতে হাটতে বাসা থেকে অনেক দূরে চলে আসলাম চাঁদের আলোতে চারপাশ আলোকিতো। চারপাশে ছোট বড় অনেক গাছ। দূরে আবিরদের বাড়ি টা লাইটিং এর আলো একটু একটু দেখা যাচ্ছে।

অনেকটা পথ না এবার ফিরতে হবে বাসার সবাই চিন্তা করছে। ফোনটা ও আনতে ভুলে গেছি। কিছুটা পথ আসার পর কুকুরে ঘেউ ঘেউ শব্দ সুনতে পেলাম। শব্দটা ক্রমশই আমার কাছে আসছে একটু পর দেখি একটা মেয়ে কে দুটো কুকুর তাড়া করছে। মেয়েটা আমার দিকে আসছে।

.

চলবে..........

About the author

Fahim Ahmed
Tech Blogger.

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন