![]() |
পরী পর্বঃ ২, ভূতুরে গপ্পো |
------ # পরী ------
Part-2
.
কলেজের অনেক মেয়েই ওর জন্য পাগল বাট ও এই সব প্রেম টেম এ বিশ্বাস করে না।তার ও একটা কারন আছে স্কুল লাইফে নাকি একটা মেয়ের সাথে প্রেম করতো মেয়েটা নাকি অনেক সুন্দরী ছিলো ৪ মাস পর একদিন মেয়েটার সাথে একটা ছেলেকে দেখে ফায়াজ।
মেয়েটা ছেলেটার হাত ধরে হাটছিলো।
এর পর ফায়াজ ওরে ফোন দেয় জিগ্যেস করে কি করো? মেয়ে নাকি বলেছিলো স্কুলে আছি। এর পর ফায়াজ ফোনটা রেখে দেয়। ফায়াজ মেয়েটাকে অনেক বিশ্বাস করতে। অনেক কষ্ট পেয়েছিলো তখন ওর এস এস সি পরিক্ষা চলছিলো। ঔ দিন ও অনেক কেঁদেছিল। ফায়াজের আম্মু ওদের সম্পর্কের কথা জানতো। উনিও অনেক কষ্ট পেয়েছিলেন। তখন আন্টি ফায়াজের পাশে ছিলেন। তবে সবচেয়ে বড় চাপ আসলো ফায়াজের পরীক্ষায়। ডিপ্রেশনের জন্য রেজাল্ট একটু খারাপ হয়েছিলো, এমন অবস্থায় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন ওর জায়গায় আমি থাকলে কয়েক সাবজেক্ট এ লাড্ডু মেরে দিতাম।
ওর রুম থেকে বের হয়ে কিচেনে গিয়ে খাবার গুলো রেখে আমার রুমে চলে গেলাম, ফ্রেশ হয়ে এশে দেখি ফায়াজ ঘুম থেকে উঠছে।
-কিরে কখন আসলি?
=কিছুক্ষণ হলো।
-ডাক দিস নি কেনো?
=ঘুমাচ্ছিলি তাই।
-খাবার আনছিস?
=হে
কই যাচ্ছিস?
-কিচেনে খাবার গুলো গরম করবো।
=তোর গরম করা লাগবে না, আমি করবো। দেখি জ্বর কেমন?
ওর কপালে হাত দিয়ে দেখলাম একটু কমেছে। যা ফ্রেশ হয়ে ডাইনিং আয় আমি খাবার গুলো গরম করি একসাথে খাবো।
=আচ্ছা।
কিচেনে খাবার গরম করছি এমন সময় ফোন দিলো মিম। কল ধরার পর কিছুই বলে না এক মিনিট পর বলে
-আমি কাউকে মিস করতেছি না
=হুম
-আমি কাউকে একটুও ভালোবাসি না
=হুম
-তুমি এতো সেলফিশ কেনো? একবার ফোন ও দিলা না।
=আমার ফোন এ টাকা ছিলো না
-এখন কোথায় তুমি?
=কিচেনে খাবার গরম করি
-বুয়া আসে নি?
=নাহ।
-ফায়াজ ভাইয়া কেমন আছে?
=মোটামুটি ভালো জ্বর একটু কমেছে। তুমি লাঞ্চ করছো?
-নাহ এখন খাবো।
=আচ্ছা যাও খেয়ে ফোন দিও।
-ওকে বাই।
খাবার গরম করা শেষ ডাইনিং এ খাবার গুলো নিয়ে গিয়ে দেখি ফায়াজ বসে আছে। দুজন একসাথে খাবার খেলাম।
,
দুই দিন পর ফায়াজের জ্বর ভালো হলো। আজ শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজ শেষ করে আমি আর ফায়াজ বাসায় আসছিলাম এমন সময় আম্মা বাড়ি থেকে ফোন দিছে কল ধরার পর আম্মা বল্লো ছেলে পক্ষ তমা কে দেখে পছন্দ করছে, আংটি পরিয়ে গেছে আগামি শুক্রবার তমার বিয়ে তুই ফায়াজ কে নিয়ে দুই-একদিন দিন এর মধ্যে বাড়িতে আয়।
=আচ্ছা ঠিক আছে।
আম্মা ফোন রেখে দিলো।
বাসায় ঢুকতে ঢুকতে ফায়াজকে বল্লাম আমার কাজিন তমার বিয়ে আগামি সপ্তাহে আম্মা তোরে নিয়ে যাইতে বলছে -আচ্ছা যাবো, এই সুযোগে তোর গ্রামের বাড়িটা ও দেখা হবে।
আমি তো ভাবছিলাম তুই রাজি হবি না থেংকস্ বন্ধু খুশিতে জড়িয়ে ধরলাম ফায়াজকে।
তিন দিন পর আমি আর ফায়াজ একসাথে বাড়িতে আসলাম প্রায় চার মাস পর। বাস থেকে নেমে একটা রিক্সা নিয়ে বাসার দিকে যেতে থাকলাম।বর্ষার শেষ, চারপাশে ধান খেত ফায়াজ কেমেরা দিয়ে গ্রামের ছবি তুলছে।
১৫ মিনিট পর আমরা বাসায় এসে পৌছালাম। আমাদের বাড়িটা অনেক বড়। দুই চাচা আর আমরা এক সাথেই এই বাড়িতে থাকি। বাড়িতে আজ অনেক মানুষ বিয়ে বাড়ি তো তাই, বড় ভাইয়ার বিয়ের সময় আরো অনেক মানুষ হয়েছিলো। ছোট বোন রিয়া আমাদের বাসায় ঢুকতে দেখে দৌড়ে গিয়ে আম্মাকে ডাকতে গেলো। একটু পর বাসার সবাই এসে আমাদের ঘিড়ে ধরলো। ফায়াজ রিতিমতো অবাক হয়ে গেলো আম্মা এসে ফায়াজকে বল্লো তুমি আসছে বাবা আমরা অনেক খুশি হয়েছি। আবির বাসায় সব সময় শুধু তোমার কথায় ই বলে। তোমার শরীরের এখন কি অবস্থা?
-জ্বি আন্টি এখন ভালো আছি।
এর পর আন্টি বাসার সবার সাথে আমার পরিচয় করিয়ে দিলেন।
আবির বল্লো আমরা কি এইখানে দাড়াই থাকবো নাকি ভিতরে জাইতে দিবা।
তার পর আন্টি আমাদের কে ভিতরে গিয়ে ফ্রেশ হতে বল্লো। আবির আমাকে ওর রুম এ নিয়ে গেলো। আবিরদের বাসাটা অনেক সুন্দর অনেক পুরনো দোতালা বাড়ি, আবিরের ছোট চাচা গ্রামের চেয়ারম্যান, এই গ্রাম এ ওদের ভালো প্রভাব আছে।
আবির আমাকে একটা তোয়ালে দিয়ে বল্লো যা গোসল করে নে।
ব্যাগ থেকে টাউজার আর গেঞ্জি বের করে বাথরুম এ গেলাম।
গোসল শেষ করে এসে দেখি আবির ফোনে কথা বলছে।
একটু পর ফোনে রেখে গোসল করার জন্য আবির বাথরুম এ ঢুকলো।
কিছুক্ষণ পর রিয়া রুম এ আসলো ভাইয়া আব্বু আপনাকে ডাকছে।
-আমাকে?
=হে আপনাকে।
আমি বল্লাম আচ্ছা চলো। আংকেল এর রুম এ আসার পর, আচ্ছালামুআলাইকুম আংকেল ভালো আছেন?
-অআলাইকুম আচ্ছালাম এইতো বাবা বুড়ো মানুষের আর ভালো থাকা। প্রেসার টা একটু বেড়েছে।তুমি দাড়িয়ে আছো কেনো বসো।
=সমস্যা নেই আংকেল।
-আরে লজ্জা পাবার কিছু নেই তুমি তো আমাদের পরিবারের ই একজন।
=জ্বি আংকেল।
-তার পর বলো তোমার শরীরের কি অবস্থা? তেমার আন্টি বলছিলো তোমার নাকি জ্বর ছিলো?
=জ্বি আংকেল, জ্বর ভালো হয়ে গেছে। এখন ভালো আছি।
=শুনে ভালো লাগলো। তোমার আব্বু-আম্মু ভালো আছেন?
-জ্বি আংকেল সবাই ভালো আছেন।
এমন সময় আবির ওর বাবার রুম এ আসলো।
-আম্মা নিচে ডাকতেছে খাবি আয়।
বলেই রুম থেকে চলে গেলো।
=আচ্ছা আংকেল আমি যাই। পরে এসে কথা বলবো।
-আচ্ছা বাবা যাও।
.
চলবে..........